আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা | আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা Class 6, 7, 8, 9, 10। ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা |
আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা
ভূমিকা: পরিবর্তনশীল ঋতুর আশীর্বাদে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। প্রতিটি ঋতু তার নিজস্ব সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্যে অনন্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। একেক ঋতুর আবেদন ব্যক্তিভেদে একেক রকম।
আমার প্রিয় ঋতুঃ আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল। ছয় ঋতুর মধ্যে শীত আমার কাছে একটু অন্যরকম। বাকি পাঁচ ঋতুতে প্রকৃতি সজীব ও সুন্দর। কিন্তু রুক্ষ প্রকৃতির মধ্যেও যে অপার সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে, তা শীতকালেই বোঝা যায়। হেমন্তে শুরু হয় পাতা ঝরার দিন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে হালকা কুয়াশা দেখা দেয়। পথে বুনো চাথিম ফুলের তীব্র গন্ধ মনে করিয়ে দেয় শীত আসছে।
আমার প্রিয় ঋতুঃ কুয়াশার সাদা চাদরে মোড়ানো এ দেশে শীত আসে। গাছগুলো পাতাহীন হয়ে যায়। রাতগুলো দীর্ঘ হয়। সকালের শিশিরে গাছগুলো ভিজে যায়। ঘন কুয়াশা দিন ও রাতের পার্থক্য বলতে পারে না। কখনও কখনও এটি এতটাই কুয়াশাচ্ছন্ন যে সামান্য দূরের বস্তুটিও দেখা যায় না। শীত সব প্রকৃতিকে শূন্য করে দেয়। কিন্তু প্রকৃতির এই বিবর্ণতা দেখতে ভালো লাগে। সারা বছর প্রকৃতিতে যদি বসন্ত থাকে, তবে কেউ এর দ্বারা প্রভাবিত হবে না। শীতের নিস্তেজতা মনে করিয়ে দেয়, একদিন এখানে রঙের ছোঁয়া আসবে, ডালে নতুন পাতা গজাবে, পাখিদের কিচিরমিচির শোনা যাবে। এইভাবে প্রকৃতি পুরাতন ঝেড়ে ফেলে নিজেকে নতুন করে সাজায়। শীত তাই মনে করিয়ে দেয়, এই পাতা ঝরা একাকী গাছ, শুকিয়ে যাওয়া নদী আসলে গাইছে আসছে নতুন দিনের। শীত এলেই বোঝা যায় বসন্ত আর বেশি দূরে নয়।
শীতের শহর: আমি কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল পছন্দ করি। আমি শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটতে পছন্দ করি। হাড়-ঠান্ডা শীতে মন উষ্ণ রোদের ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকে। আমি বসন্তের ফুল পছন্দ করি যেমন গোলাপ, গাঁদা, জিনিয়া, কসমস, সূর্যমুখী যা শীতকালে ফোটে। শীতকালে বাড়ির বারান্দায়, ছাদের কার্নিশে, পার্কের মাঠে যে রকমের ফুল ফোটে তা অন্য কোনো ঋতুতে দেখা যায় না।
আরও দেখতে পারেন: আমার দেখা একটি বিজ্ঞান মেলা রচনা
শীতের গ্রাম: শীতের প্রকৃতি কিছুটা শূন্য হতে পারে। কিন্তু এই শূন্য শীতে সোনালী ধান আর সবজিতে ভরে উঠেছে বাংলার কৃষক। শীতের সবজি আমার খুব প্রিয়। এ মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায়। শীতের পিঠেপুলির স্বাদ অমৃতের মতো। মায়ের বানানো শীতের পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি খেজুরের রসের জন্য শীতকাল বেশি পছন্দ করি। শীতে আমার অনুভূতি: শীতে ঝড়ের সমস্যা নেই। তাই এই সময়ে বাইরে যাওয়ার মজাই আলাদা। প্রতি শীতে আমরা হয় গ্রামের বাড়িতে যাই না হয় অন্য কোথাও যাই। আমি শীতকালে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে পছন্দ করি। সকালে, আমি চুলার কাছে পা রেখে বসে থাকি, দাদীকে জড়িয়ে ধরে, গরম পায়েস খাই। উঠোনের ধারে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। সেই আগুনের তাপে আমরা নিজেদেরকে উষ্ণ করি। রাতে কম্বল গায়ে দিয়েও কাঁপতে এক ধরনের আনন্দ পাই। এই মৌসুমে আমাদের দেশে দর্শনার্থী পাখি আসে। শীতের ধূসর পর্দার মাঝখানে রঙের ছোঁয়া দেয় তারা। শীতে ঠাণ্ডা লাগার ভয় নেই, প্রখর রোদে পোড়ানোর ভয় নেই, বর্ষার প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ভয় নেই, প্যাঁচে কাদায় আটকে পড়া বা মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার ভয় নেই।
উপসংহার: শীতকালে আমি বেড়াতে পছন্দ করি, আমি খেলতে পছন্দ করি, এমনকি যে সবজি আমি সারা বছর খেতে চাই না, শীতকালে খুব সুস্বাদু হয়। তাই শীত আমার প্রিয় ঋতু।
শেষকথা
আশা করি আপনার প্রশ্ন আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা সম্পর্কে সমাধান করা হয়েছে। যদি এই ব্লগ পোস্ট আপনাকে লাইভ মন্তব্য করতে ভুলবেন না তুলনায় সাহায্য।