নানান দেশের নানান ভাষা ভাবসম্প্রসারণ
নানান দেশের নানান ভাষা
বিনা স্বদেশি ভাষামিটে কি আশা ?
মূলভাব: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত আছে। দেশ ও জাতির যেমন আলাদা, ভাষা ও তেমনি আলাদা। তাই কেউ তার মাতৃভাষা ছাড়া অন্যকোনো ভাষায় কথা বলতে বা ভাবপ্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না।
সম্প্রসারিত ভাব: ভাষার সাহায্যে মানুষ মূলত মনের ভাব প্রকাশ করে এবং চিন্তা-চেতনাকে কালো কালির অক্ষরে অক্ষয় করে রাখে। পৃথিবীর সব ভাষার গুরুত্ব এক নয়। উন্নত জাতিসমূহের ভাষাও সাধারণত উন্নত থাকে। জ্ঞানকর্মে, সাহিত্য-শিল্পে, বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় সেসব ভাষা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। যে দেশের ভাষা যেভাবেই মর্যাদা পাক না কেন, নিজ দেশের ভাষার মত এত প্রিয় আর কোনো ভাষা থাকতে পারে না। বিদেশি ভাষা শিক্ষা ভাষা লাভ করে রোজগারের ব্যবস্থা হতে পারে। কিন্তু মনের বিকাশ, চিত্তের আনন্দ মেটানো একমাত্র নিজ মাতৃভাষার মাধ্যমেই সম্ভব। জন্মের পর থেকেই মায়ের কোলে নিজ মাতৃভাষা শিখে থাকে এবং সেই ভাষাতেই কথা বলে বা মনের ভাব আদান-প্রদান করে। এজন্য স্বদেশি ভাষার প্রতি প্রেম-প্রীতি থাকাটাই প্রত্যেকের জন্য স্বাভাবিক। স্বদেশি ভাষার সাথে প্রত্যেকেরই নাড়ীর সম্পর্ক, ঐতিহ্যের সম্পর্ক, সংস্কৃতির সম্পর্ক, আত্মার সম্পর্ক। এ সম্পর্ক এতই শক্ত যে, তা ছেঁড়া বা বিচ্ছিন্ন করা বা নষ্ট করা যায় না, পাহাড়ের মতো অনড় থাকে । যেকোনো বিষয়েই মানুষ দেশি ভাষার গৌরবে গর্ববোধ করে। দেশি ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কেউ মনের আশা ব্যক্ত করতে পারে না, পূরণও করতে পারে না। তাই মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিদেশি ভাষা চর্চা করেও যখন বড় কবি হতে পারলেন না, তখন মাতৃভাষার কোলে ফিরে এসে মাতৃভাষার আশ্রয়ে মহাকাব্য লিখে মহাকবি হয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন । শুধু মধুসূদনই নন, পৃথিবীর যে কোন যশস্বী মহান ব্যক্তিই মাতৃভাষার তাঁর পাণ্ডিত্য প্রকাশ করে অমর হয়েছেন ।
মন্তব্য:তাই বলা যায়, মাতৃভাষার মতো এমন মধুর ভাষা আর কোনো ভাষার মধ্যে পাওয়া যায় না। আবার মধু আনন্দ করাও যায় না মাতৃভাষা ছাড়া । মাতৃভাষা চর্চায়ই কেবল মনে আনন্দ পাওয়া যায় ।
নানান দেশের নানান ভাষা
বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?
মূলভাব: মানুষ মাত্রই তার মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি লাভ করে থাকে। অন্য ভাষা তার কাছে তত সহজে বোধগম্য নয়।
সম্প্রসারিত ভাব: স্বদেশি ভাষা বলতে মাতৃভাষাকেই বোঝায়। মাতৃভাষায় মনের ভাব যত সহজে ও অবলীলায় প্রকাশ করা যায় তা অন্য কোনো ভাষায় সম্ভব নয়। বিদেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হলেও মাতৃভাষার মতো চিন্তা-চেতনার বিকাশ ও তার সাবলীল প্রকাশ অন্য ভাষায় সম্ভব হয় না। কারণ শিশুকাল থেকেই মানুষ মাতৃভাষা আয়ত্ত করে, মাতৃভাষায় কথা বলে অর্থাৎ মাতৃভাষা তার আবাল্য পরিচিত, নিতান্তই মায়ের মতো আপন। স্বদেশের মাটি, পানি, বায়ু আর ভাষাকে ব্যবহার করে বেড়ে ওঠে মানুষ। তাই মানুষের কথা বলার ও মনের ভাব প্রকাশের উৎকৃষ্ট বাহন মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং আনন্দ পায়, অন্য কোনো ভাষায় তা অসম্ভব। পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মাতৃভাষার বিশিষ্টতা রয়েছে। মাতৃভাষার সঙ্গে তাদের নিবিড় আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। যে জাতি পৃথিবীতে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা, গবেষণা কাজে মাতৃভাষার যত বেশি চর্চা করেছে সে জাতি তত বেশি উন্নত হয়েছে। মাতৃভাষার ব্যাপক চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়া জাতীয় বিকাশ সম্ভব নয়। পৃথিবীর বিদ্বান ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভাষা শেখেন, সাধনা করেন, জ্ঞানের চর্চা করেন। কিন্তু অর্জিত সাধনার ফল প্রকাশ করেন মাতৃভাষায়। কারণ মাতৃভাষার দ্বারা যত সুন্দর ও সাবলীলভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়।
মন্তব্য:আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বিমূর্ত চিন্তা-চেতনা মূর্তি লাভ করে মাতৃভাষার মাধ্যমেই। তাই মাতৃভাষাই মানুষের ভাব বিনিময়ের অন্যতম বাহন।
নানান দেশের নানান ভাষা
বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?
মূলভাব: মাতৃভাষা মানুষের অমূল্য সম্পদ। কারণ, হাজারো ভাষার মধ্যে একমাত্র মাতৃভাষাতেই মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করে তৃপ্তি লাভ করে।
সম্প্রসারিত ভাব: স্বদেশি ভাষা বলতে মাতৃভাষাকেই বোঝায়। মাতৃভাষায় মনের ভাব যত সহজে ও সাবলীলভাবে প্রকাশ করা যায় তা অন্য কোনো ভাষায় সম্ভব নয়। বিদেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব কিন্তু মাতৃভাষার মতো চিন্তা-চেতনার বিকাশ ও তার পরিপূর্ণ প্রকাশ অন্য ভাষায় সম্ভব হয় না। কারণ শিশুকাল থেকেই মানুষ মাতৃভাষা আয়ত্ত করে, মাতৃভাষায় কথা বলে। অর্থাৎ মাতৃভাষা তার আবাল্য পরিচিত, মায়ের মতোই আপন। স্বদেশের মাটি, পানি, বায়ু আর ভাষাকে ব্যবহার করে বেড়ে ওঠে মানুষ। তাই মানুষের কথা বলার ও মনের ভাব প্রকাশের উৎকৃষ্ট বাহন মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং আনন্দ পায়, অন্য কোনো ভাষায় তা অসম্ভব। পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মাতৃভাষার বিশিষ্টতা রয়েছে। মাতৃভাষার সঙ্গে তাদের নিবিড় আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। যে জাতি পৃথিবীতে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা, গবেষণা কাজে মাতৃভাষার যত বেশি চর্চা করেছে সে জাতি তত বেশি উন্নত হয়েছে। পৃথিবীর বিদ্বান ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভাষা শেখেন, সাধনা করেন, জ্ঞানের চর্চা করেন। কিন্তু অর্জিত সাধনার ফল প্রকাশ করেন মাতৃভাষায়। কারণ মাতৃভাষার দ্বারা যত সুন্দর ও সাবলীলভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। আর তাই অন্য ভাষায় তা প্রকাশ করে তিনি পরিপূর্ণ পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারেন না।
মন্তব্য: আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বিমূর্ত চিন্তা-চেতনা মূর্তি লাভ করে মাতৃভাষার মাধ্যমেই । অতএব, মাতৃভাষাই মানুষের ভাব বিনিময়ের প্রধানতম বাহন। এর মাধ্যমেই মানুষের মনের আশা ও আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ পরিতৃপ্তি ঘটে।
নানান দেশের নানান ভাষা
বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?
মূলভাব: মাতৃভাষা হৃদয়ের গভীরের ভাষা। পৃথিবীতে যত ভাষা আছে তন্মধ্যে মাতৃভাষাই সর্বোত্তম । মাতৃভাষাই হলো ভাব প্রকাশ্যের শ্রেষ্ঠ বাহন ও মাধ্যম।
সম্প্রসারিত ভাব: একটি শিশু জন্মলাভ করার পর মায়ের কোল হতে যে ভাষা শেখে তাই হল মাতৃভাষা। মাতৃভাষা মানুষের অত্যন্ত প্রিয়। এ ভাষাতেই সে শেখে, কথা বলে, লেখে এবং মনের ভাব প্রকাশ করে। মাতৃভাষার সাথেই জড়িয়ে আছে মানুষের হাসি, কান্না, মিলন, বিরহ ইত্যাদি ।
পৃথিবীতে অনেক ভাষা। একেক দেশের মানুষ একেক ভাষায় কথা বলে এবং মনের ভাব প্রকাশ করে, এটাই তাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষা মানুষের মনের গাঁথামালা। তাই এই ভাষার সাহায্যে সে যত সহজে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, অন্য ভাষাতে পারে না। কোন দেশের লোকের নিকট অন্যকোনো দেশের ভাষা সহজবোধ্য নয় । বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষাই আমাদের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। এ ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষা আমাদের পক্ষে সহজবোধ্য নয়।
মন্তব্য : পৃথিবীতে যারা খ্যাতিমান হয়েছেন তারা নিজ মাতৃভাষাকে ভালোবেসেছেন। মাতৃভাষাই তাদেরকে খ্যাতিমান হবার গৌরব অর্জনে সাহায্য করেছে। তাই সকলকে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
কনকশন
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম নানান দেশের নানান ভাষা ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে । যদি আজকের এই নানান দেশের নানান ভাষা ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।