আমি উপর থেকে এই অভিব্যক্তি লেখার নিয়ম শিখেছি আমরা শিখতে পারি যে নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষ নামকে বড় করে। 6ষ্ঠ, 7ম, 8ম, 9ম, 10ম শ্রেণী এবং SSC HSC JSC PSC বাংলা 2য় পত্র ভাবসম্প্রসারণ।
১। উদ্ধৃত অনুচ্ছেদগুলি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
২৷ অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন।
৩। অন্তর্নিহিত অর্থ রূপকের আশ্রয়ে আছে কি না তা ভাবতে হবে।
৪। সহজভাবে মূল ধারণা প্রকাশ করুন.
৫। মূল বিষয় প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।
৬। বিবৃতির পুনরাবৃত্তি না করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ভাব সম্প্রসারণ: হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান
মূলভাব: কঠোর-কঠিন জীবন দৃষ্টি ও স্পষ্ট ভাষণের ক্ষমতা দিয়ে দারিদ্র্য মানবজীবনকে গৌরবময় করে তোলে। দারিদ্র্য মানুষকে শেখায় আত্মদৃষ্টির জীবন ও সংঘাতে মাথা উঁচু করার কৌশল। মানব সমাজকে বাস্তবিক শিক্ষা প্রদান করে দারিদ্রতাকে মহিমাম্বিত করে তোলে।
সম্প্রসারিত ভাব: সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ যখন সবে জ্ঞান ও ক্ষমতা’ সম্পর্কে অবগত হয়েছে, তখন থেকেই তাদের মধ্যে শ্রেণীবিভাজনও সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভাজন হয়েছে প্রথমত অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর, দ্বিতীয়ত জ্ঞান ও বর্ণবাদের ওপর।
অর্থনৈতিক শ্রেণীসাম্য থেকে দুটি প্রধান শ্রেণী পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে–ধনী ও দরিদ্র। ধনলাভে সমর্থ হয় একশ্রেণীর সমাজে আভিজাত্য পেয়েছে, অন্য শ্রেণির তার পদলেহন করেছে।
দ্বিতীয় এ শ্রেণীর মানুষকে সব সময় সমাজের নিষ্ঠুরতা ও প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তার জীবনী শক্তি ক্ষয় হয়েছে সব সময়; বিনিময়ে সে অর্জন করেছে এমন এক জীবন দৃষ্টি যা দিয়ে পৃথিবীর সকল কঠোরতাকে প্রতিহত করা যায়।
বঞ্চনা, শোষণ তার মধ্যে ক্রমান্বয়ে দিয়েছে স্পষ্ট ভাষণ এর ক্ষমতা। সে কারণে ধন হয়তো সে অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু অন্যের চোখে চোখ রেখে তার প্রত্যুত্তর করেছে।
পৃথিবীর ঊষর জমিকে কর্ষণ করে সে সোনার জন্ম দিয়েছে, পর্বতসমূহ বোঝা মাথায় নিয়ে সে পৃথিবীর ভারকে লাঘব করেছে, শক্ত হাতে হাতুড়ি চালিয়ে জন্ম দিয়েছে বাস্তবিক বিজ্ঞানের নানা সরঞ্জামের। কিন্তু আখেরে তার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
দরিদ্র হয়ে জন্মানোর সমাজকৃত দায়কে সে সানন্দে মাথায় তুলে নিয়েছে। যিশুর মত কন্টক হার মাথার পরে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়েছে সামনের দিকে। মাথা উঁচু করার প্রত্যয় এসেছে সে জীবনেদৃষ্টি থেকেই।
দারিদ্র্যের মাহাত্ম্য জন্ম নিয়েছে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্তে। যাকে সমাজের তথাকথিত ধনিক শ্রেণী অবজ্ঞাভরে দূরে ঠেলেছে তারাই আবার নিজেদের সকল বিকাশের ক্ষেত্র হিসেবে দারিদ্র্যের শরণাপন্ন হয়েছে। কিন্তু নিজের মহত্ত্বের গুনে সে আহবানকে দূরে ঠেলেনি দরিদ্র সমাজ। বরং অন্তরাত্মায় আপন করে রক্তে জলে ঘামে পৃথিবীকে প্রতি মুহূর্তে সুসভ্য করে বিনির্মাণ করেছে।
মন্তব্য: দারিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থা কি স্পষ্ট করলেও তার মানসিক শ্রেণীকে উচ্চকিত করে না। মানবিকতার জয়গান হয় অন্তরাত্না থেকে যার দারিদ্র্যের কষাঘাতে অর্জিত হওয়া সম্ভব। কারণ দারিদ্র্যের সামাজিক ও বৈশ্বিক সংঘর্ষ হয়েছে বলেই মানুষ জীবনকে গৌরবময় করার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজেদের নিয়োজিত করেছে এবং জীবনের মহত্ত্ব অর্জন করেছে।
কনকশন
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম ভাব সম্প্রসারণ: হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান । যদি আজকের এই নানান দেশের নানান ভাষা ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।