শীতের মেলা রচনা ক্লাস 6,7,8,9,10

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বই পড়ার অভ্যাস রচনা | অলস দুপুর রচনা Class 6, 7, 8, 9, 10। ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অলস দুপুর রচনা |

শীতের মেলা রচনা

ভূমিকাগ্রামবাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম উপকরণ মেলা। মেলা বিনোদন ছাড়া একঘেয়ে গ্রামীণ জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে। গ্রামবাসী এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ মিলেমিশে একাকার হয়ে মেলার মাঠ জমজমাট। মানুষের সঙ্গে মানুষের, শিল্পের সঙ্গে শিল্পের এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি হয়। মেলার মানুষ আর মানুষের মেলা বেঁধেছে।
 
মেলার প্রচলন : কোন পর্বের মেলার মেলার প্রচলন বিশেষ এখন গ্রামীণ- এটি একটি স্বতন্ত্রভাবে রূপক আদর্শ। সাধারণ বছর বারো বছর শুরু হয় এই মেলায় অথবা বিশেষ কোন পর্বে মেলাও খেলার খেলা করা হয়।
আরও দেখতে পারেনগ্রীষ্মের দুপুর রচনা
মেলার স্থান ও সময় : জেলা জেলা পথ যোগাযোগের ধরনের প্রচলন রয়েছে। স্থান বিশেষে আছে কিছু মেলা মেলা। যা ঐ স্থানেরপই সুপরিচিত। সাধারণ মেলা বসার জন্য হাট-বাজারের ন্যায় নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই। কেন্দ্র কেন্দ্রে খুলতে খোলা, মন্দির প্রাঙ্গণে, তীরে বা বড় বৃক্ষের গ্রাম মেলা বসতে দেখা যায়। পূর্ব পূর্ববর্তী পূর্বরূপ আলোচনার অনুশীলন করা হয়। মেলার কম্পিউটার সাময়িকভাবে দোকানপাট বসার মত চালাচালি করা হয়। মেলা শেষ পর্যায়ে মেলার মেলার আনন্দে আবারও মুখরিত হওয়া মেলার সেকল। কোনটি মিলের কোনটি পার্টি, কোনটি সাপ্তাহ, আবার কোন মেলার এক মাস খুঁজে বের করা হয়। আজকাল শুধু গ্রাম নয়, শহর ও আধা এমপিও মেলার আসর। তবে গ্রামই মেলার উপযুক্ত পটভূমি।
 
মেলার উপলক্ষ : আমাদের দেশের ব্যাপকতাকে কেন্দ্র করে মেলা মেলা হয়। পহেলা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী, বিজয়া দশমী, দশই মহরম, চৈত্রিক ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে অনেক মেলা বসে থাকে। তবে উপলক্ষ বিষয় না কেন মেলা বাংলা সমাজ ও মানুষের খুব পছন্দ ও আনন্দের দিন। মেলায় সমাজের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, ধনী-নির্ধন, উচ্চ-নীচ-নির্বিশেষে সকলেই মিলিত হয়। বিভেধের বিরোধিতা করতে গিয়ে সকলেই এক আনন্দের জোয়ারে গা ভাসায়। মেলাকে আশ্রয় করে গ্রামীণ মানুষের আনন্দ-উৎসের রুদ্ধ দুয়ার খোলে। এর মধ্যেই সে খুঁজে পায়। খুঁজে পায় মুক্তির আনন্দ। সত্যপীর, শীতলা, মনসা, ষী, ওলাবিবি, সতী-মা এমন কত লৌকিক দেবী গ্রামীণ জীবন ওতপ্রোতভাবে সমতুল্য। শত শত নারীর মানুষের-আকাঙ্ক্ষা আর আন্দোলন আশার আকু এর সাথে এঁদের আত্মিক সম্পর্ক। কেন্দ্র কেন্দ্র করে লোকগাথা, কত ব্রতকথা, পাঁচলি, শারা, গ্রাম্য সাহিত্য-সংগীতের ধারা আজও প্রকাশিত। মেলা গ্রামীণ জীবনের শুকনো খাতে নিয়ে আসে প্রবল আনন্দ-জোয়ার। সেই জোয়ারেই বাঙ্গালী চিত্তভূমি সিক্ত হয়েছে।
আরও দেখতে পারেনবর্ষাকাল রচনা
মেলার পথ : কোন দিন মেলার সামনে তা বের করা আগে জানা এবং সে দেখে তাদের সামনে এগিয়ে। বড় ছেলে-মেয়েরা আগে মেলায় খরচ করার জন্য তাদের কাছে-মাতার কাছ থেকে টাকা-পায়সা জমা দিতে হয়। আরও আশেপাশের কারিগর মেলায় বিক্রির আগে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে থাকে।
মেলার বর্ণনা ও মেলার সাধারণ চিত্র : প্রত্যেক মেলারই একটি সাধারণ চিত্র আছে। চলমান এক ছবি। ভিড়, চেঁচামেছি, হট্টগোল, ঠেলাতেলি, হাসি-কান্না, ছোট ছেলেমেয়েদের বিস্ময়-বিঠ ভাব, দৃষ্টির উবাচ্ছাস, রঙবেরঙের পোশাক-আশাক। নাগরদোলা, কাটামুণ্ডু জোড়া লাগার জাদুবিদ্যা, তাপাতার বাঁশির আঁজ, বিভিন্ন খেলনা, মণ্ডা-মিঠাইয়ের দোকান, জিলিপি নিজের ধুম, পাঁঠাপড়-তেলেভাজার ঘ্রাণ, জামা-কাপড়, হাঁড়িকুড়ির মতো পণ্য-পসার, এমন এক পরের জীবন্ত চিত্র।
মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে দোকানদার আসে। মেলায় দোকানগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে। মেলায় পাশে খেলনা, ডালা-কুলা-চালুনি, পাশে কাঠের জিনিসপত্র, পাশে মাটির জিনিসপত্র, পাশে ঘুড়ি এবং পাশের জিনিসের দোকান। আর মেলার একপাশে নাগরদোলা, রাধাচক্র ও সার্কাস পাস। নিজের বানার নাচ, পুতুল নাচ, তার সাথে ছোট ছেলেমেয়েদের নাচানাচি। অনেক কৃষক তাদের পণ্য নিয়ে মেলায় হাজির হয়। কুটির শিল্পের অসংখ্য নমুনা এখানে আনা হতে থাকে। আশেপাশের এলাকা বিভিন্ন শ্রেণির কারিগরের মত জিনিস তৈরি করে, তা তারা বিক্রয়ের জন্য মেলায় নিয়ে আসে। সুন্দর সুন্দর জিনিসের সমারোহে মেলা পরিপূর্ণ হওয়া। কোন মেলায় কিছু খেলাধুলার স্থাপনও। এর মধ্যে হা-ডু-ডু ও কুস্তি দর্শকদের বিশেষ আনন্দ দেয়।
 
আরও দেখতে পারেনঅলস দুপুর রচনা
মেলার তাৎপর্য : মেলার আছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক : মনস্তামিক ও অর্থনৈতিক। মনস্তাত্ত্বিক দিক হল : ভাবদান-প্রদান, অর্থনৈতিক আদান-প্রদান কি হল পণ্য। গ্রামীণ মহল নিস্তরঙ্গ অনাবিল আনন্দের উত্স হিসাবে উদযাপিত হয়। মেলা গ্রামীণ জীবন প্রতিচ্ছবি। গ্রামীণ জীবন ছবি প্রদর্শন করে তোলে। গ্রামী জীবন কৃতিত্বের রাজনীতির রূপের মাধ্যমে গ্রামীণ মেলার। গ্রাম্য মেলায়। দূরে গ্রামকে চেনা যায় গ্রাম্য মেলার মাধ্যমে।
মেলার মধ্য : মেলার জন্য বহুদিন থেকে নেওয়ার জন্য, জোর। মেলায় আসা বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী মেলার এ মেলার আয়োজন বিক্রেতারা তাদের চিত্র দ্রব্য নিয়ে ঘ. এখানে কুটির শিল্পজাত ও মৃৎশিল্প, তাল পাতার পাখা, নকলের মতারি খেলনা, শীতল পাতি, নৃতাত্ত্বিক উপকরণ কাঁটি। মেলাকে আরও পছন্দ করে বাঁশের বাঁশি, দলর ঢোল ইত্যাদি। এছাড়াও মেলায় সমাবেশ করার মত আছে সার্কাস, ম্যাজিক, যাত্রা, থিয়েটার ইত্যাদি বিনোদনমূলক বিষয়।
মেলার প্রযুক্তি: আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গ্রাম মেলা শুধু আনন্দ চিত্তের শান্তি দেয় না, বিত্তের শক্তিও যোগায়। মেলায় কৃষি ও কুটির শিল্পজাত ব্যাদি বেচাকে। মেলাকে কেন্দ্র করে পড়ে কাতীমার-কুমার, তাঁহার, সুতারদের মধ্যে বিভিন্ন জিনিসের হিড়িক পড়ে। তাই দেখা যাচ্ছে, মেলার মাধ্যমে গ্রামীণ অনেক মানুষের কিছু সৃষ্টির পথও প্রশস্ত হয়। সাধারণ সার্কাস ও ভ্রমণদল সহ আরো নারী ব্যবসায় থাকে। অনেক লোকের দেখতে অন্ন সংস্থান করা হয়। প্রসঙ্গত ডঃ কে, টি, হোসাইন লেখক,
“গ্রাম মেলার কিছু অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে যা আমি করতে পারি
গ্রামের সাধারণ মানুষ কতটা পড়ে আছে তা প্রমাণ করুন।”

 

 
মেলার অপকারিতা : মেলার সুবিধাও অপকারও আছে। মেলায় বিচিত্র লোকের সমাগম শেষ। জুয়া, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাসী সহ বিভিন্ন অসমাজিক ও অন্যথায় কাজ মেলায় সংঘটিত হতে পারে। কিছু চরিত্রহীন দ্বারা নারী লাঞ্ছিত ভিডিও ঘটতে পারে। শুধু যত্রতত্র মলমূত্র আগ্রাসের ফলে দুর্গন্ধের বের হয়। ফলে পরিবেশ দূষিত হয় এবং বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। অনেক সময় পচা-বাসী খাবারের ফলাফল কলের ও প্রাদুর্ভাব দেখায়।
 
উপসংহার : মেলা হচ্ছে গ্রামীণ সাংস্কৃতিক ও সংস্কৃতি পরিচায়ক। মেলা লোক সংস্কৃতিই এক বিশেষ ধমনী। এই ধমনী জীবনের স্পন্দন। এরই মধ্যে বাঙ্গালি খুঁজে বের করুন। মেলা তা নিছক আনন্দ-অনুষ্ঠানের এলাকা নয়। এর সঙ্গে যুক্ত আছে তার কালের ধর্ম-সাধনা। তার জীবন-লীলার তরঙ্গের আঘাত-প্রতিঘাত আছে। এর মধ্যে আছে তার অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা। আছে জীবন অফুরান শক্তির প্রকাশ। মেলাই তার স্থাপন প্রতিশ্রুতি। তার তার দর্পণ।
 
আরও দেখতে পারেনবই পড়ার অভ্যাস রচনা

 

শেষকথা

শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলামশীতের মেলা রচনা। যদি আজকের এই বর্ষাকাল রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ

 

Check Also

রচনা: নারী শিক্ষার গুরুত্ব (১০০০ শব্দ)

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নারী শিক্ষার গুরুত্ব রচনা | নারী শিক্ষার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *