আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা রচনা | শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা রচনা Class 6, 7, 8, 9, 10 | ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা রচনা |
শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা রচনা
মেলা শব্দের আসল অর্থ হল মানুষের মিলনস্থল। মেলার কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নেই। মেলার প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে আছে নির্মল আনন্দ এবং যুবক-বৃদ্ধ সবার মিলনের মধ্যে। মানুষের জীবনে মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নানা ধরনের মেলার আয়োজন করে আসছে। এতে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে, নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
সময় বদলে গেলেও মেলার এই প্রাথমিক চরিত্রের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এমন একটি প্রিয় মেলা যা আমি দেখেছি তা হল শান্তিনিকেতনে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত পৌষ মেলা। প্রতি বছরের মতো এ বছরও দর্শনীয় স্থান দেখার উদ্দেশ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম। সেই মেলায় আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বিস্তারিত আলোচনার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনের উপস্থাপনা।
পৌষমেলায় আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনার আগে সভ্যতার কাছে মি লারকির তাৎপর্য তুলে ধরা দরকার। মেলা মানেই মানুষের মিলনমেলা। বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষের মিলনমেলা। বিভিন্ন ধরনের বিনিময়. সারা বছর একই কর্মজীবন কাটিয়ে মানুষের মনের সংকীর্ণতা বাড়ে।
যখন পাকা ফসলের ঘ্রাণ কাঙ্গালিনীর মতো ভেসে ওঠে শাখা-প্রশাখায়, হিমশীতল হাওয়ায়, যখন ধূসর কম্বল প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দেয়, যখন শিশিরে ভেজা ঘাসে প্রথম সূর্যের আলো পড়ে, তখন শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার গণনা শুরু হয়। শান্তিনিকেতন সবার কাছে এক অদ্ভুত অনুভূতি পাওয়ার জায়গা।
কথিত আছে, ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্যের সঙ্গে ৭ই পৌষের দিনটির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। 1250 সালে 7ম পৌষ মহর্ষি ভক্তদের সাথে ব্রাহ্মণ্যবাদে দীক্ষিত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ব্রাহ্মণ্যবাদে দীক্ষা নেওয়ার দুই বছর পর, ৭ই পৌষের দিনে, তিনি তার ব্রাহ্মসমাজের বন্ধুদের সাথে ধর্মের উন্নতির লক্ষ্যে একটি আলোচনার আয়োজন করেন। দেবেন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন সমাজের সবাই ব্রাহ্মসমাজের অনুরাগী হয়ে উঠুক।
প্রথমে এই পৌষ মেলা শুধুমাত্র একদিনের জন্য অনুষ্ঠিত হত। প্রাণবন্ত অথচ অনানুষ্ঠানিক, প্রাণবন্ত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এই মেলা। এতিম শিশুদের মাঝে বিভিন্ন ভোজ্য সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ভিড় ছাড়া যেকোনো মেলাই ম্লান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শান্তিনিকেতনের আশেপাশের গ্রামবাসীরা দিনভর এই মেলা উদযাপন করত। মাঠে অনেক সুদৃশ্য দোকান ছিল।
পৌষ মেলা আমাদের ঐতিহ্য। বছরের পর বছর সাক্ষী আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি তার মহিমায় টিকে আছে। শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা আমাকে নগর জীবনের ক্লান্তির সময়ে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে। আমি এখানকার মানুষের কাছ থেকে প্রতিটি মুহূর্তে শিখেছি যে খারাপের পরে ভালোর জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
শেষকথা
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম পৌষ মেলা অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে। যদি আজকের এই বর্ষাকাল রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।