আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আমার প্রিয় ফুল রচনা | আমার প্রিয় ফুল রচনা Class (৩ – ৮ )। ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আমার প্রিয় ফুল রচনা ক্লাস |
আমার প্রিয় ফুল রচনা
ভূমিকা: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ফুলের অবদান রয়েছে। অন্যান্য ফুলের মতো লিলিও সৌন্দর্যের সঙ্গী। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই শাপলা সহজলভ্য। শাপলা ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে সারা বাংলাদেশে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সহজলভ্য হওয়ায় শাপলাকে জাতীয় ফুলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার মতো অন্যান্য দেশেও জাতীয় ফুল রয়েছে। যেমন ভারতের জাতীয় ফুল পদ্ম, ইরানের জাতীয় ফুল গোলাপ ইত্যাদি।
আবাসস্থল: শাপলা একটি জলজ ফুল যা পানিতে জন্মায়। এ-ফুল খাল, স্রোত, হ্রদ, পুকুর, নদী এবং পরিত্যক্ত জলাশয়ে জন্মে। আ-ফুল চাষ করতে হয় না। যত্ন ছাড়াই ফুল ফোটে। জাতীয় জীবনে ব্যবহার জাতীয় জীবনের অনেক ব্যবহারিক দিক রয়েছে। স্ট্যাম্প ও কয়েনে শাপলার ছাপ রয়েছে। জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা পেয়েছে এই ফুল।
জাত: রঙের ক্ষেত্রে রঙের ভিন্নতা রয়েছে। শাপলা সাদা, লাল, নীল, হলুদ, গাঢ় লাল, বেগুনি-লাল, রক্ত-বেগুনি, নীল-বেগুনি ইত্যাদি। বাংলাদেশে সাদা, লাল এবং নীল- এই তিনটি রঙ পাওয়া যায়। সাদা বীট অন্যান্য রঙিন বিট থেকে বেশি সাধারণ। আমাদের জাতীয় ফুল সাদা লিলি।
ভূমিকা: পানির নিচের মাটি থেকে প্রথমে শিকড় গজায়। আর সেই শিকড় থেকে সরু নলের মতো একটি রড জলের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে এবং সেই রড থেকে জলের ওপরে পাতা বের হয়। পাতাগুলো বড় ও পুরু এবং পানিতে ভেসে থাকে। এবং শিকড় থেকে বেশ কয়েকটি শাখা বের হয় যা দেখতে ঝোপের মতো। একাধিক শাখা মূলত শ্যাপলার টিউব বা ডেটা। এই টিউবের মাথায় কলার মুচি আকৃতির ফুলের কুঁড়ি ফোটে। ফুলও পাতার মতো পানিতে ভাসে। বর্ষাকালে শাপলা ফোটে।
শাপলা ফুলের মেলায় প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজাতে দেখা যায়। ফুল পূর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার সাথে সাথে পাপড়ি ঝরে পড়ে; আর টিউবের সামনে গোল সৈকত পানিতে ডুবে যায়। পানি বাড়ার সাথে সাথে শাপলার বৃদ্ধিও বাড়ে। এবং জল কমতে শুরু করে, এটি অদৃশ্য হয়ে যায়। শীত মৌসুমে খাল-বিল, নদী-নালায় পানি না থাকায় শাপলা মরে যায়। তবে বিচ সুপ্ত থাকে। নতুন বর্ষার আগমনে শাপলাগুলের শিকড় থেকে আবারও চারা গজায়।
সৌন্দর্য: বর্ষার পানিতে ফুল ফোটে প্রকৃতি নতুন রূপ ধারণ করে। শাপলার সৌন্দর্য এমনভাবে ফুটে ওঠে যে প্রকৃতিকে সুন্দর মনে হয়। জ্যোৎস্নারায় নানা রঙের পুঁতি রাতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
উপকারিতা: শাপলা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। শাপলা ফুল হাতে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করে শিশু-কিশোররা। শাপলা বা উটের কারি দিয়ে মালা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শাপলার আসে বিচি থেকে। এছাড়া শাপলা থেকে যে খোসা তৈরি হয় তা শুকিয়ে খাওয়া যায়।
অসুবিধা: শাপলা প্রায়ই ধানক্ষেতের ক্ষতি করে। ধানের চারা দিয়ে শাপলার চারা গজালে ধানের চারা বাড়তে পারে না।
উপসংহার: বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা জলীয় এলাকা। বর্ষাকালে এর পূর্ণ রূপ আমরা দেখতে পাই। আর বর্ষাকালে শাপলা প্রকৃতিকে শোভা দেয় জলজ ফুলের মতো। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাঙালির জীবনে, জাতীয় জীবনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ফুলের তুলনা হয় না।
কনকশন
শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম আমার প্রিয় ফুল রচনা সম্পর্কে । যদি আজকের এই আমার প্রিয় ফুল রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।